১. প্রত্যেক মানুষেই একান্ত বন্ধুর সঙ্গ কামনা করে। তাই বাড়িতে স্বামীর বন্ধুবান্ধব এলে বা তাদের সঙ্গে যতো সময়েই কাটান না কেন কখনও অভিযোগ করবেন না। বরং স্বামীর বন্ধু ও তাদের পরিবারকে আপন করে নিন। বন্ধুত্ব করে ফেলুন স্বামীর বন্ধুদের স্ত্রীদের সঙ্গে।


২. সবসময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করুন। হাসিখুশি থাকুন। কাজের পর বাড়ি ফিরে আপনার হাসি মুখ দেখে স্বামীরও ভালো লাগবে। তবে না সংসার সুখে-শান্তিতে থাকবে।


৩. স্বামীর শখকে নিজের শখ করে নিন। সেটা যাই হোক না কেন। এতে করে আপনার প্রতি স্বামীর ভালোবাসা অনেক বেড়ে যাবে।


৪. আপনি সব ধরনের রান্না না পারলেও ছুটির দিনে এমন কিছু রান্না করুন যাতে করে আপনার স্বামী অবাক হয়ে যায়। কারণ বউয়ের রান্নার প্রশংসা করেন না এমন স্বামী খুব কমই আছেন।


৫. স্বামী কোনও ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত নিলে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। তবে তার মতামতকে গুরুত্ব দিন। গুরুতর কোনও বিষয় না হলে স্বামীর মতামতের বিরোধিতা করবেন না।


৬. মাঝ রাতে স্বামীর ফোনে কল এলেও কিছু জিজ্ঞাসা করবেন না। যতক্ষণ না তিনি নিজে কিছু বলছেন। স্বামী লুকিয়ে প্রেম করলেও চেঁচামেচি করে কোনও লাভ নেই। মাঝখান থেকে নিজের আত্মসম্মান খোয়াবেন। বরং স্বামীর সঙ্গে আচরণ করুন। আরও ভালোবাসুন। এতেও না ফিরলে দুজনে মিলে শান্তভাবে সিদ্ধান্ত নিন কী করবেন।


৭. প্রত্যেক স্বামীই তার স্ত্রীর সৌন্দর্য নিয়ে গর্ব করে। তাই নিজেকে সবসময় আকর্ষণীয় রাখুন। এজন্য যে পার্লারে যেতে হবে এমন কোনও কথা নেই। বাড়িতেই নিয়মিত টোটকা ব্যবহার করুন। আর সবসময় পরিচ্ছন্ন, প্রিম অ্যান্ড প্রপার থাকুন। স্বামী হুট করে কফি খেতে যাওয়া বা সিনেমা দেখার প্ল্যান করলে যাতে বেরিয়ে পড়তে পারেন।


৮. বিছানায় স্বামীকে যথাসম্ভব খুশি রাখুন। নিজের ইনহিবিশন থেকে বেরিয়ে আসুন। যে স্বামী বিছানায় তৃপ্ত থাকেন তিনি দাম্পত্য অটুট রাখতে চান।


৯. দাসীর মনোভাব নিয়ে নয় অন্তর থেকে স্বামীর সেবাযত্ন করুন। কারণ তিনি আপনার ভালোবাসার মানুষ।


১০. দাম্পত্য জীবনে সবচে বড় ভয়ঙ্কর ব্যাপারটি হচ্ছে মিথ্যা কথা। তাই স্বামীকে কখনও মিথ্যা বলবেন না। আর এমন কিছু করবেন না যা স্বামীকে বলতে পারবেন না।


স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের ভালোবাসা যদি আল্লাহর জন্য হয় আবার ঘৃণা করাও যদি তার জন্য হয় তবে তারা আরশের ছায়ায় স্থান পাওয়া ৭ শ্রেণির অন্তর্ভূক্ত হবে। সুতরাং দাম্পত্য জীবনে দ্বীনদারী, ইবাদত-বন্দেগি, সততা, নৈতিকতা, সচ্চরিত্র, সদাচার ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভালোবাসা এবং ঘৃণা হবে আল্লাহর জন্য।